গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বেগম মরিয়ম মেমোরিয়াল মডেল স্কুলে বিজয়নগর নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে তৃতীয় বারের মতো পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলা উৎসবে বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল ও সামাজিক সংগঠন আনন্দঘন পরিবেশে অংশগ্রহণ করেন।অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের স্টলে সাজসজ্জার সাথে নানারকম পিঠা প্রদর্শন করেন।
মেলায় বুধন্তী মডেল স্কুল, বেগম মরিয়ম মেমোরিয়াল মডেল স্কুল, বিজয়নগর উপজেলা প্রবাসী কল্যাণ সংগঠন সহ বেশ কিছু স্টল অংশগ্রহণ করেন। পিঠা উৎসবের পাশাপাশি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল মনোমুগ্ধকর।
‘হিম হিম শীতের বাতাস, উষ্ণতা ছড়ায় পিঠা পুলির সুবাস’ প্রতিপাদ্যে পিঠা উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠানে বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুল হাসান শান্ত ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আজিজুল ইসলাম আসলাম এর যৌথ সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি মো. শাহ্ আলম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ এর সহকারী অধ্যাপক ডাঃ এ কে আজাদ।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক এর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শফিক রায়হান শ্রাবণ, বিজয়নগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ও অন্যান্যরা। আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ স্টল ঘুরে ঘুরে পিঠা দেখেন এবং অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশনায় দলীয় ও একক নৃত্য, দেশাত্মবোধক গান, আবৃত্তি, অভিনয় প্রদর্শিত হয়। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচ দেখতে দর্শকরা ছিল উচ্ছসিত।
পিঠা উৎসবে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যেতে বসা শতাধিক রকমের পিঠা উঠে। তারমধ্যে হৃদয় হরণ, চিংড়ি পিঠা, লুচি সুজির হালুয়া, খাজা পিঠা, ভর্তা পিঠা, জামাই রাজা ছিল পিঠাপ্রেমীদের পছন্দের শীর্ষে।
পিঠা উৎসবে প্রথম হয়েছে বুধন্তী মডেল স্কুল, দ্বিতীয় বেগম মরিয়ম মেমোরিয়াল মডেল স্কুল, তৃতীয় বিজয়নগর উপজেলা প্রবাসী কল্যাণ সংগঠন। পরে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি স্টলকে শুভেচ্ছা স্মারক সহ বিজয়ীদেন মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়!!