• শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বিশেষ প্রতিনিধি : গাইবান্ধায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত আনিস মিয়া ঠান্ডা (৩৭) নামের এক অটোবাইক চালক চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হয়েছেন। গভীর রাতে রোগীর সাহসী ফেসবুক লাইভ! তুলে ধরলেন পলাশবাড়ী হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা, অবহেলায় ক্ষুব্ধ রোগী ও স্বজনরা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদদে সংবাদ সম্মেলন গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নের দাবিতে বিক্ষোভ গাইবান্ধায় জাতীয় পার্টির ইফতার ও দোয়া মাহফিল সরকারী চাল লুটের সংবাদ প্রচার করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা একটি মার্কশীট হারিয়ে গিয়েছে পলাশবাড়ীতে মাদক সেবনের সময় যুবলীগ নেতাসহ ৩ জনের কারাদণ্ড আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশকে প্রধান উপদেষ্টার দিক নির্দেশনা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাল সরকার

গভীর রাতে রোগীর সাহসী ফেসবুক লাইভ! তুলে ধরলেন পলাশবাড়ী হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা, অবহেলায় ক্ষুব্ধ রোগী ও স্বজনরা

Reporter Name / ৪১ Time View
Update : শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

পলাশবাড়ী প্রতিনিধি:

পলাশবাড়ী ৫০ শয্যার সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চরম অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতার চিত্র আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা ও পর্যাপ্ত নজরদারির অভাবে এখানকার সাধারণ মানুষ চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে—এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

সবশেষ গত ১৫ এপ্রিল রাতে এমনই এক ঘটনার শিকার হন নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের মেয়ে রিয়া আক্তার (১৮)। হার্টজনিত শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন তিনি।

চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে জরুরি বিভাগে অক্সিজেন ও স্যালাইন দেওয়া হলেও, এরপর দীর্ঘ সময় ধরে কেউ তার খোঁজ নেয়নি।

রিয়া জানান, গভীর রাতে হঠাৎ শরীরে অস্বস্তি অনুভব করেন তিনি। চোখ মেলে দেখেন, স্যালাইনের পরিবর্তে তার শরীর থেকে রক্ত স্যালাইনের পাইপে প্রবাহিত হচ্ছে। ভীত হয়ে বারবার চিৎকার করেও হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়, নার্স বা দায়িত্বরত চিকিৎসকের কোনো সাড়া পাননি তিনি।

পরিস্থিতির চরম অবনতিতে বাধ্য হয়ে রিয়া নিজের অসুস্থ শরীর নিয়ে নার্সিং স্টেশন ও ইমারজেন্সি বিভাগে সাহায্যের আশায় ছুটে যান, কিন্তু কোথাও কাউকে খুঁজে পাননি। একপর্যায়ে, অসহায়ত্ব, ক্ষোভ ও বেদনায় তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে আসেন।

লাইভ ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পরপরই হাসপাতালের স্টাফরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

রিয়া ও তার স্বজনদের অভিযোগ, অক্সিজেন ও স্যালাইন দেওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কেউ রোগীর পাশে আসেননি। রক্তক্ষরণ শুরু হলে নিজের স্যালাইন নিজেই খুলতে বাধ্য হন রিয়া।

এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম ক্ষোভ ও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পলাশবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনিয়ম, দুর্নীতি ও অবহেলার আখড়ায় পরিণত হয়েছে। রোগী আছে, সিট আছে, কিন্তু নেই প্রয়োজনীয় ওষুধ, সেবা কিংবা মানবিকতার ছোঁয়া।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। তবে সচেতন নাগরিকরা অবিলম্বে দায়ীদের শাস্তি ও হাসপাতালের সার্বিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় একজন প্রবীণ শিক্ষক বলেন, “এই হাসপাতাল যেন এখন রোগ সারানোর জায়গা নয়, রোগ বাড়ানোর জায়গা হয়ে গেছে।”

রিয়ার ফেসবুক লাইভ এবং তার সাহসিকতা এখন সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। জনগণ প্রশ্ন তুলছে—এই যদি হয় সরকারি চিকিৎসার অবস্থা, তবে সাধারণ মানুষের গন্তব্য কোথায়?
হাসপাতাল লাইক লাইভ


More News Of This Category
bdit.com.bd